দেশে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ ১৫ মে ২০২০ইং পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে।
শনিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে ছুটির আদেশ রোববার জারি হতে পারে বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে টানা ছুটিতে রয়েছে দেশ, যা আগামী ৫ মে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আবার ছুটি বাড়ানো হচ্ছে।
ইতোমধ্যে সারাদেশকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথম দফায় গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসে সধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দ্বিতীয় দফায় তা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এবং তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এবং চতুর্থ দফায় ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বর্ধিত করা হয়েছিল।
তবে ছুটি বর্ধিত হলেও বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানী, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাকসেবাসহ আরও যেসব জরুরি সেবা রয়েছে, সেগুলো আগের মতোই খোলা থাকবে বলে জানা গেছে।
এদিকে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আরও পাঁচজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শনিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৫ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৬ হাজার ১৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ৫ হাজার ৮৮৭ নমুনা পরীক্ষায় আরও ৫৫২ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৯০ জনে।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ৩ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। তারা পাঁচজনই ঢাকার বাসিন্দা।